সতীর্থের চোটে কপাল খুলল শোয়েব মালিকের। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সোহেব মাকসুদ সময়মতো সেরে না ওঠায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান দলে ডাক পেলেন ৩৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের প্রথম ধাপের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পর থেকেই তাদের স্কোয়াড নিয়ে চলছিল অনেক আলোচনা-সমালোচনা। সেখানে ঠাঁই পাননি মালিক। গত শুক্রবার দলে তিনটি পরিবর্তন আনে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। দলে ফেরানো হয় অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদকে।

তার সঙ্গে ডাক পান তরুণ হায়দার আলি ও ফখর জামান। কিন্তু উপেক্ষিতই থেকে যান মালিক। এমন নয় যে বর্তমানে ছন্দে নেই তিনি। চলমান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে এখন পর্যন্ত রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন শীর্ষ পাঁচে। ৬ ইনিংসে এক ফিফটিতে রান করেছেন ২২৫। গড় ৭৫, স্ট্রাইক রেট ১৪৯। তারপরও নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারছিলেন না পরীক্ষিত এই ক্রিকেটার। অবশেষে পথটা তৈরি হলো ৩৪ বছর বয়সী মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মাকসুদ চোটে ছিটকে পড়ায়।

তার শূন্যতা পূরণে শনিবার অনেক আলোচনার পর মালিককে বেছে নেওয়ার কথা জানান প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিম। “টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর তার(সোহেব মাকসুদের) জায়গায় আমরা শোয়েব মালিককে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নিশ্চিত, শোয়েবের অভিজ্ঞতা পুরো দলের জন্য উপকারী হবে।” ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মালিক। সেবার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে গেলেও দুই বছর বাদে পরের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান, সেই দলেও ছিলেন তিনি। ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ২০১০ আসরে অনুপস্থিত থাকলেও ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ আসরে খেলেন দেশের হয়ে ১১৬ টি-টোয়েন্টি খেলা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি খেলা মালিক সবশেষ জাতীয় দলে ছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সম্প্রতি মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১১ হাজার রান পূর্ণ করেন মালিক। আগামী ২৪ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা।